আকস্মিক বন্যার কারণে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে প্রান্তিক গরুর-মহিষের খামারিদের ভয়ে ভয়ে কাটছে রাত, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্কের রাতভর ঘুমাতে পারেন না এসব খামারিরা এমনটাই অভিযোগ করেন অনেকে। যেকোন মুহূর্তেই গরু-মহিষ ডাকাতি হয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে তদের।
বন্যার পানিতে উঁচু-নিচু প্রায় সব চর তলিয়ে যাওয়া যমুনা নদীর পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এরফলে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অপরদিকে ডাকাতি সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে এরেন্ডাবাড়ি, গজারিয়া, ফজলুপুর ও ফুলছড়ি চরে বসবাস করা প্রান্তিক গরুর-মহিষ খামারিদের।
চরে নিজ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে শতাধিক খামার প্রায় প্রত্যেকটি খামারেই ২০ থেকে ৭০ টি গরু-মহিষ আছে। দেশি জাতের গবাদি পশু লালন-পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন চরবাসী।
ফজলুপুরের নিশ্চিন্তপুর, খাটিয়ামারী চরের মো. ছেবাদ আলী, রুস্তম আলী, মো. এরশাদ আলী এসব প্রান্তিক খামারি প্রত্যেককে জানিয়েছে শুকনো মৌসুমে ডাকাতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ডাকাত দল অতটা সহজে গরু মহিষ নিতে পারে না। বন্যার কারণে চারিদিকে পানি যেকোনো সময় ডাকাত দল বড় নৌকা বাড়িতে চাপিয়ে আমাদের ওপর অস্ত্র ধরে গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তারা পুলিশ প্রশাসনের সব কর্মকর্তার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন যেন বন্যা কবলিত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার ওসি রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া জানান, রাত্রে নৌকাযোগে ফুলছড়ি থানা থেকে একটি টিম নৌপথে সকল অপ্রতিকর ঘটনা রোধে রাতে টহল দেয়। এছাড়াও গজারিয়া ফাঁড়ি থানার একটি টিম এবং বালাসী নৌ পুলিশের একটি টিম নিরাপত্তার জন্য রাত্রিকালীন টহল জোরদার করেছে, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।
টিএইচ